সরকারী চাকুরীতে
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান
ও নাতী-পুতিদের
জন্য হাস্যকর ৩০%
কোটা, জেলা কোটা
১০%, মহিলা কোটা
১০%, উপজাতী কোটা
৫% ও প্রতিবন্ধী
কোটা ১% সংরক্ষিত
থাকে। বাকী মাএ
৪৪% মেধার ভিত্তিতে
নিয়োগ করা হয়।
কিন্তু দলীয় কোটা,
আত্নীয় কোটা, লবিং
বা সুপারিশ ও
উৎকোচের আবদার
ইত্যাদির কারনে
মেধাবীরা আজ
অসহায়।
কোন কোটাই
চিরস্হায়ী হওয়া
উচিৎ নয়। সময়ের
এসেছে কোটা পদ্বতি
পূনঃমূল্যায়নের বা
সংস্কারের, তবে
সরকারী চাকুরীতে কোটা
থাকলেও তা ১০%–১৫% এর বেশী
হওয়া উচিৎ নয়।
সামাজিক, অর্থনৈতিক,
চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্য
এর জন্য বাংলাদেশ
পাকিস্তান হতে
দীর্ঘ নয় মাস
যুদ্ধ করে স্বাধীন
হয়েছে। আর এই
স্বাধীন দেশেও
সেই একই বৈষম্য।
যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে
অবশ্য তারা দেশের
সূর্যসন্তান। তাদেরকে
সরকার অন্য ভাবে
সহায়তা করতে পারে।
কিন্তু এজন্য কি
মেধাবী তরুণদের ভবিষ্যৎ
খুন করবে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ছেলেমেয়দের
কোটার জন্য যুদ্ধ
করেনি, সবার সম
অধিকারের জন্য
করেছিল, এটাই আমার
বিশ্বাস… তাঁদের
অবদানের বিনিময়
তাঁদের সন্তান ও
নাতি-নাতনিকে কোটা
পদ্ধতিতে চাকরি
দিয়ে শোধ করার
নয়। মুক্তিযোদ্ধার নাতি
– নাতনীর কোটায় চাকুরির
দাবী করা লজ্জা
জনক। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে
আর কত বানিজ্য
করবেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আর
কত নিচে নামালে
খুশি হবেন।
বিভিন্ন প্রকার
কোটার কারনে মেধাবীরা
এমনেতেই কোনঠাসা
অবস্হায় আছে।
মেধাবীদের মূল্যায়ন
করেন, তাদের সাথে
তামাসা আর কত
করবেন??? কোটার চেয়ে
মেধার মূল্য দেওয়া
উচিত। কারণ, দেশে
লক্ষ লক্ষ মেধাবী
যুবক চাকুরীর আশায়
হণ্যে হয়ে রাস্তায়
রাস্তায় ঘুরছে।
তাদের দিকে সরকারের
সুদৃষ্টি কামনা
করছি। মেধাবী তরুণেরা
সরকারের গুরুত্বপূর্ণ
জায়গায় কর্মরত থাকলে
দেশ ও জাতির
কল্যাণ সাধিত হবে।
কোটাকোটা পদ্ধতি
বাতিলের জন্য
আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
No comments:
Post a Comment